প্রশ্ন-৬ : আহলে হাদিস নামক দুরাচারদের ইয়াজিদ প্রীতি কি ইসলামের আদর্শ?
প্রশ্ন-৬ : আহলে হাদিস নামক দুরাচারদের ইয়াজিদ প্রীতি কি ইসলামের আদর্শ?
উত্তর দিচ্ছেন : শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
বিস্তারিত প্রশ্ন :
(হযরত ওসমান রাঃ খেলাফত কালে আমীরে মুয়াবিয়া সিরিয়ার গভর্নর ছিলেন। সিরিয়ায় তিনি খলিফাকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব একটি ক্ষমতা বলয় তৈরী করেছিলেন।তিনি সেখানে একটি নৌ শক্তি গড়ে তুলে ছিলেন।
যা খলিফার নিকট থেকে অনুমোদিত ছিল না। হযরত ওসমান রাঃ কে বিদ্রোহীরা হত্যা করার পর খলিফা হন হযরত আলী রাঃ।
খলিফা আলী খলিফা হওয়ার পর প্রথম কাজ ছিল বিদ্রোহীদের শাস্তি দেয়া। কিন্তু ঈহুদী সন্তান ইবনে সাবার দাপট দেখে খলিফা, ওসমান হত্যার বিষয়টা সময় নিয়ে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কিন্তু সিরিয়ার গভর্নর খলিফার বিরুদ্ধে মানুষদের কে ক্ষেপিয়ে দিতে বিবি নায়লার কর্তিক আংগুল এবং ওসমান রাঃ এর রক্ত মাখা জামা নিয়ে মসজিদে মসজিদে প্রদর্শনের ব্যাবস্হা করে ওসমান হত্যার ব্যাপারে পরোক্ষ ভাবে বিদ্রোহীদের সাথে খলিফার সহায়তার অভিযোগ আনতে লাগলেন।
এই প্রথম ইসলামের ইতিহাসে খলিফার বিরোদ্ধে বিদ্রোহ করা হয়। তিনি কি কারনে এমন টা করেছিলেন?
তার পর একটা নির্বাচিত খলিফার বিরুদ্ধে আমীরে মুয়াবিয়া দুই দুইটা যুদ্ধ সংগঠিত করে ছিলেন।
মুসলমানরা এই অবস্হাটা কিভাবে নিবেন?
এখন ওনারা বলছেন,সরকারের বিরুদ্ধে কোন রকম আন্দোলন সংগ্রামই হারাম। ফতোয়া দিচ্ছেন)